গলদা চিংড়িটি ট’কট’কে কমলা রঙের। ক্রেতার সামনিই নড়াচড়া করছে। তবে এই চিংড়ি রান্না করে খেয়ে ফেলার প্রতি আগ্রহ নেই ক্রেতার, বরং তার চেয়ে এর সঙ্গে ছবি তুলতেই বেশি আগ্রহ ক্রেতার! চিংড়িটির বয়স ও ওজন বিবেচনা করে একে বিক্রি বা রান্না না করে ক্রেতার সামনে প্রদর্শন করেই আনন্দ পান খামা’রের মালিক স্টিফেন জর্ডান।
তবে যে চিংড়ি নিয়ে এতোটা হৈচৈ তার বয়স কিন্তু কম নয়, তার বয়স ৯৫ বছর আর এর ওজন ২৩ পাউন্ড (১০ কেজি ৪৩২ গ্রাম)। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আকর্ষণীয় এই প্রাণীকে বিক্রি বা রান্না না করে এর জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে একটি সামুদ্রিক খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
বিক্রি করার দারুণ সুযোগ ছিল চিংড়িটি কিন্তু তা সত্ত্বেও চিংড়িটিকে লং আইল্যান্ড অ্যাকুরিয়ামে দান করে দিয়েছে তারা। নিউইয়র্কের আইল্যান্ড পার্কের জর্ডান গলদা চিংড়ির খামা’রের মালিক স্টিফেন জর্ডান বলেন, এটি প্রায় একটি ছোটখাটো ডাইনোসরের মতো। তার দোকানে আসা ক্রেতারা চিংড়িটির সঙ্গে ছবি তুলতেই বেশি পছন্দ করছিল।
তাই ৯৫ বছরের এই চিংড়িটি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। জর্ডানের খামা’রে চিংড়িটির সঙ্গে ছবি তুলছিলেন একজন ক্রেতা। ব্রিটনি বেইগেল নামের ওই ক্রেতা বলেন, ‘এ ধরনের দৈত্যাকৃতির গলদা চিংড়ির কথা আমি অনেক শুনেছি। কিন্তু কখনো সত্যি সত্যি দেখিনি। এটিকে কাছ থেকে দেখাই একটি বিরাট পাওয়া।’
খামা’রের কর্মী এরিকা ওপেনা চিংড়িটির ওজন স’ম্পর্কে ধারণা দিতে বলেন, এই চিংড়ি তুলে ধরতে বা উঁচু করতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের নিজের শরীরের প্রায় পুরো শক্তি ব্যয় করতে হয়।