আয়ারল্যান্ডের সমুদ্রে ধরা পড়েছে একটি সাড়ে আট ফুটের টুনা মাছ। তবে মাছটিকে ধরেও ছেড়ে দেওয়া হয়। দেশটির গণমাধ্যম আইরিশ মিরর জানিয়েছে, আয়ারল্যান্ডে আজ পর্যন্ত যত টুনা মাছ ধরা পড়েছে, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে বড়।
২৭০ কেজি ওজনের ওই টুনা মাছটির বাজারে দাম হতো প্রায় ৩০ লাখ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯১ টাকা।
মাছটি ধরেছিলেন দেশটির ওয়েস্ট কর্কের বাসিন্দা ডেভ অ্যাডওয়ার্ড নামের এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে ডারেন ও’সুলিভান এবং হেন্ক ভেল্ডম্যান নামের আরও দুই সঙ্গী ছিলেন। তারা পেশাদার মৎস্যজীবী নন। তারা যেটা করেন তা হলো, মাছ ধরে আবার সেগুলো সমুদ্রে ছেড়ে দেন। তারা আটলান্টিকে মাছের সংখ্যা বাড়ানোর একটি কর্মসূচির জন্য এই কাজ করেন। সেই কর্মসূচিতে গিয়েই তাদের বড়শিতে এই বিশাল টুনা মাছটি ধরা পড়ে।
মাছটি এত বড় ছিল যে, তাতে ট্যাগ লাগানোর আগে পানিতে রেখেই মাপ নিতে হয়। মাছটির ওজন ছিল ২৭০ কেজি।
টুনা মাছটির দুটি ছবি ওয়েস্ট কর্ক কার্টার নামের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে। অনেক মানুষ তাতে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। ডেভরা ছাড়াও এই মাছ ধরা ও ছাড়ার কর্মসূচিতে আরও ১৪টি নৌকা অংশগ্রহণ করেছিল। এই কর্মসূচি চলবে অক্টোবরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।
‘হাতিরাজা’ আর দেহরক্ষী ছাড়া চলে না
৭০ বছরের বুড়ো হাতি তিকিরিকে বাঁচানো যায়নি। তবে ৬৫ বছরের রাজাকে বাঁচাতে কোনো কসুর করেনি শ্রীলংকার সরকার। তার মেজাজও রাজার মতোই।
দু’পাশে দুই দেহরক্ষী ছাড়া এই হাতিকে কোনোদিন একা রাস্তায় দেখা যায়নি। শীতের রাতে তার একটু হাওয়া খাওয়ার ইচ্ছা হলে, তুরন্ত চলে আসে পুলিশ ফোর্স। পাহারা ২৪ ঘণ্টার। শ্রীলংকা গার্ডিয়ান। নাদুঙ্গামুয়া রাজা।
শ্রীলংকার ক্যান্ডিতে ভগবান বুদ্ধের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী টুথের মন্দিরের অন্যতম সম্পদ নাদুঙ্গামুয়া রাজা। মন্দিরের হাতিশালের সেরা হাতিও সে। উচ্চতায় সাড়ে ১০ ফুট এই দাঁতাল এখন শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় হাতি। ক্যান্ডির ‘শ্রী ডালাডা পেরাহারা’ বা ‘এসালা পেরাহারা’ উৎসব তাকে ছাড়া ভাবাই যায় না।
কিন্তু দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরে কেন রাজা? মন্দির কর্তৃপক্ষ তো বটেই, সরকারি কর্মকর্তারাও রাজার সুরক্ষায় সদা তৎপর। হর্ষ ধর্মবিজয় নামে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রথমে এতটা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না।
এই দেহরক্ষীর ব্যাপারটা শুরু হয় ২০১৫ সালের পর থেকে। একটি মোটরবাইক প্রায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাতির মুখোমুখি এসে পড়ে। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। হর্ষ জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ঘোষণা না করা হলেও বেসরকারিভাবে রাজা দেশের জাতীয় সম্পদ।
বৌদ্ধ ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘এসালা পেরাহারা’য় মুখ্য ভূমিকা থাকে রাজার। তার গায়ে আঁচ এলে, মন্দির কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়তে হবে সরকারকে। তাই এত নিরাপত্তার বাঁধুনি। প্রতিবছর জুলাই এবং আগস্টে ক্যান্ডি সেজে ওঠে ‘এসালা পেরাহারা’ উৎসবে।
টুথের মন্দির থেকে শোভাযাত্রা করে বের হয় বিরাট মিছিল। আলোয় সেজে ওঠে গোটা শহর। এই মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হাতি। রাজকীয় ঝলমলে পোশাকে সাজিয়ে তারা প্যারেড করে শহরজুড়ে।
অমৃতবাজার/ কেএসএস