টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী এখন দুই বাংলাতেই করছেন ছবি। সম্প্রতি পরিচালক শামীম আহমেদের ‘বিক্ষোভ’ ছবিতে নায়িকা হওয়ার কথা ছিল শ্রাবন্তীর। এবং সিনেমার গানে অংশ নিচ্ছেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী সানি লিওন। তবে ছবিটিতে নায়িকার আসন থেকে আউট হয়ে গেছেন শ্রাবন্তী। তাঁর জায়গায় ইন হয়েছেন আরেক অভিনেত্রী শুভশ্রী।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এমনটিই জানিয়েছেন বিক্ষোভের পরিচালক। তিনি জানান, শ্রাবন্তী আছেন, তিনি একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন। আর নায়িকা হচ্ছেন কলকাতার মডেল ও অভিনয়শিল্পী শুভশ্রী কর।
মূলত নায়কের তুলনায় শ্রাবন্তীর বয়স বেশি হওয়ার কারণে তাকে নায়িকার জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।শামীম আহমেদ আরও জানান, শ্রাবন্তী ও শুভশ্রী কর গত বৃহস্পতিবার তাঁরা ঢাকায় এসেছেন। শুক্রবার থেকে শুটিংয়ে তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। ছবিতে শুভশ্রী কলেজছাত্রী। তিনি আর শান্ত একই ক্লাসে পড়েন। কলেজের শিক্ষক শ্রাবন্তী। নিরাপদ সড়কের জন্য ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবির গল্প।
কলগার্লকে কল দিলেই মিলছে অভিনেত্রী!
দেয়ালের পোস্টারে রয়েছে এক সুন্দরীর ছবি। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘যৌনতৃপ্তির জন্য এই নম্বরে ফোন করুন।’ ব্যস! আর যায় কোথায়। সকাল নেই সন্ধ্যা-রাত নেই ফোন বেজেই চলেছে। রিসিভ করলেই ওপাশ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে ‘রেট কত?’
বিরক্ত সেই কলগার্লটি আদতে একজন কলকাতার অভিনেত্রী। তাই ওই নম্বরে কল দিয়ে কলর্গালকে চাইতেই কথা বলছেন একজন অভিনেত্রী। টেলিভিশনে কাজ করেন তিনি। কেউ একজন তার ছবি দিয়ে কলগার্ল বলে পোস্টার ছাপিয়ে সেঁটে দিয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। এ কেমন শত্রুতা?
অবশেষে অবশ্য সেই কুরুচির মানুষটি গ্রেফতার হয়েছে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। নাম অরুনাভ পাল। বাড়ি বারুইপুর।
ঘটনাটি মাসখানেক আগের। ওই অভিনেত্রী সোনারপুরের মালঞ্চ এলাকায় একটি বহুতলে থাকেন তিনি। অভিনেত্রীর অভিযোগ, গত ২৭ আগস্ট তার বন্ধু বারুইপুর স্টেশনে অশ্লীল পোস্টারটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
২৮ আগস্ট থেকে বাড়তে থাকে ফোন ও এসএমএস। তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন ছবি নিয়ে ওই পোস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই অভিযোগ অভিনেত্রীর। বিরক্ত হয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রায় এক মাস তদন্তের পর অভিযুক্ত চিকিৎসকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, এর আগেও তার বিরুদ্ধে নারীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। একসময় ইস্পাত হাসপাতালে কাজ করতেন ওই চিকিৎসক। সেখানেও নাকি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
চিকিৎসকের সঙ্গী শঙ্করনাথ হালদার নামে আরও এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দু’জনকেই একসঙ্গে বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।