ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, খাবারের তালিকায় কাটছাঁট কতো কিনা করেন ওজন কমাতে! সবারই জানা শসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। শসা শুধু আপনার ওজন কমাবে তাই নয়, সঙ্গে শরীরে পানির চাহিদা মেটাবে। তাছাড়া সৌন্দর্য বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।
শসায় মোটেই ফ্যাট নেই, আর ক্যালোরিও নামমাত্র। তাই এই খাবার সহজেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলায় সহায়ক। এছাড়া শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও নানা খনিজ লবণ। শুধু শসা খেতে ভালো না লাগলে রয়েছে অন্য উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-
> শসার রায়তা বানানো যতটা সহজ, ততই সুস্বাদুও। গ্রেটারে শসা ঘষে নিন। এরপর তাতে টক দই, লবণ, জিরা গুঁড়া, ধনেপাতা, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। সব মিশিয়ে নিলেই রায়তা তৈরি।
> ব্লেন্ডারে ছোট ছোট করে কাটা শসার টুকরো, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, সবুজ আপেল দিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিন। এরপর এতে বরফের টুকরা মেশান। ঠান্ডা শসার স্মুদিতে যেমন পুষ্টিগুণ পাবেন, তেমনই মেদ ঝরবে চটপট। এতে স্বাদ বাড়াতে ভাজা মশলার গুঁড়া বা গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।
> স্মুদির মতোই বানিয়ে নিতে পারেন শসার শরবত। ধনে পাতা, আদা, শসার টুকরো, লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিন শসার শরবত। আর প্রতিদিন খালি পেটে খান এটি, মেদ ঝরবে দ্রুত।
> গাজর, পেঁয়াজ, টমেটোর সঙ্গে শসা মিশিয়ে প্রায়ই আমরা সালাদ বানাই। এবার তাতে যোগ করুন একটু সিদ্ধ চিকেন। ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন কয়েকটি কাজু বাদাম আর লেবুর রস। ব্যাস, দুপুরের খাবার তৈরি। আর এতেই কমবে ওজন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএ
মানসিক চাপ কাটানোর ঘরোয়া উপায় জেনে রাখুন
সংসার, অফিস সবকিছু সামলে চলেন ঠিকই, কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন দিনদিন? কোনোকিছুই ভালোলাগে না, কাজে মন দিতে কষ্ট হয় ইত্যাদি সবকিছুই হয়ে উঠছে আপনার মানসিক চাপের কারণ।
সুস্থ থাকার জন্য শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেই মানসিক চাপ সামলানোর মানসিক উপায়- সবারই কিছু না কিছু প্রিয় কাজ থাকে। কেউ ছবি আঁকতে ভালোবাসে, কেউবা ঘুরে বেড়াতে।
কেউ কেউ ভালোবাসেন বাগান করতে। সবরকম কাজের চাপে প্রিয় কাজগুলো থেকেই দূরে সরে যাচ্ছেন? প্রতিদিনই অল্প হলেও সময় রাখুন নিজের জন্য। সেই কাজটিই করুন, যেটি আপনার করতে ভালো লাগে।
আপনার শরীরই যদি সুস্থ না থাকে, তা হলে কিন্তু স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন, কারণ খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি আপনাকে আরও দুর্বল করে তুলবে।
তাজা শাকসবজি, ফল, মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুধজাত প্রডাক্ট রাখুন খাদ্যতালিকায়। অশ্বগন্ধা, ক্যামোমাইলের মতো কিছু ভেষজ মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকের ধারণা।জিনসেংও ক্রনিক স্ট্রেস কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। রাতে শোওয়ার আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন।
অ্যারোমাথেরাপি এবং এসেনশিয়াল অয়েলের যৌথ ব্যবহার মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে খুব কার্যকর৷ ল্যাভেন্ডার, নেরোলি, চন্দন, কমলালেবুর এসেনশিয়াল অয়েল উত্তেজিত নার্ভগুলিকে শান্ত করে৷ রাতে শোওয়ার আগে স্নানের অভ্যেস আছে?
তা হলে সেই জলে মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনশিয়াল তেল৷ বালিশে বা আপনার রোজের মাখার ক্রিমেও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন৷ তবে যে জিনিসটি বাজার থেকে কিনছেন, তার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই ব্যবহার করুন৷
কিছু রং আছে যা আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। নীল, সবুজ, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনির মতো কয়েকটি মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। এই রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে অফিসের ডেস্কে কিছু গাছপালা রাখুন, দেখবেন মানসিকভাবে আপনি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে উঠবেন।
অতিরিক্ত তামাক, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।বেশি রাত জাগবেন না, দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, কিছু ব্যায়াম করুন।