প্রচলিত জনপ্রিয় ধারার একটি শব্দ ‘বাঁশ’। একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা উপহাস করার ছলে ‘বাঁশ’ শব্দটি বলে থাকেন। অথচ আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বাঁশ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার।
দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাঁশের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাগুলো-
বাঁশের পুষ্টিগুণ
তাজা বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।
বাঁশের উপকারিতা
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে দেহের নানা রোগ প্রতিরোধ করে বাঁশ। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
> বাঁশের কোঁড়ল দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
> এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
> কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুড়ি নেই।
> তাছাড়া হাঁপানী, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মৃগি রোগে মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ।
যেকোনো সবজির সঙ্গে তুলনা করলে বাঁশের কোঁড়ল কোনোভাবেই হেলাফেলার নয়। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই চেষ্টা করুন বাঁশের কোঁড়ল রাখার।
আরো পড়ুন
হাত কাঁপা কোন রোগের ইঙ্গিত? জেনে নিন এর কারণও
হাত কাঁপা অনেকের কাছেই খুব স্বাভাবিক মনে হতে পারে। অনেকের আবার বিনা কারণেও অনেক সময় হাত কাঁপে। সমস্যাটি হচ্ছে, যদি দীর্ঘদিন কেউ এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন তখন এটি কতোটা স্বাভাবিক?
না, মোটেও তখন তা আর স্বাভাবিক থাকবে না। কারণ বিনা কারণে হাত কাঁপা পারকিনসন রোগের ইঙ্গিত দেয়।
এই রোগ ছাড়াও আরো কিছু কারণে হাত কাঁপা সমস্যা হতে পারে। যা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই কারণগুলো-
১. ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়, বিরক্ত লাগে। অনেক সময় ঘুম না হলে শরীরে নানা ধরনের কম্পনও দেখা দেয়। শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। কিন্তু ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন কাজ করতেও অনেকে চাপ অনুভব করেন। এতে শরীর কার্যক্ষমতা হারায়। পাশাপাশি হাত কাঁপা সমস্যা দেখা দেয়।
২. অতিরিক্ত কফি খেলে স্নায়ুর কার্যকারিতার ওপর প্রভাব পড়ে। এতে শরীরে কম্পন সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত চা কিংবা অ্যালকোহল পানেও একই সমস্যা হতে পারে।
৩. অনেক ধরনের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলেও হাত কাঁপে।
৪. অনেকে মনে করেন, ধূমপান মানসিক চাপ কমায়। ধূমপান কিন্তু উৎকণ্ঠাও বাড়ায়। সিগারেটে থাকা নিকোটিন হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এতে উৎকণ্ঠা বাড়ে। সেই সঙ্গে হাতও কাঁপে।
৫. শরীরের নার্ভ পদ্ধতি ঠিক রাখতে ভিটামিন ১২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে এ ভিটামিনের ঘাটতি হলে হাঁত কাপা সমস্যা হতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া