যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার আস্তানায় যাতায়াত করতো দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সম্প্রতি তাদের তালিকাও তৈরি করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওয়েস্টিনের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ফুটেজ ও পাপিয়ার মোবাইল ফোনের ভিডিও পর্যালোচনা করে এসব তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ওই তালিকাসহ একটি প্রতিবেদন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে দাখিল করা হয়েছে। পাপিয়ার
মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা। সূত্র জানায়, পাপিয়ার ডেরায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল অন্তত ২১ জনের।
সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এই ব্যক্তিত্বদের বাইরে গত এক মাসের ভিডিও ফুটেজে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আরো ৫ জনকে কয়েক দফা ঐ আস্তানায় যেতে দেখা গেছে। ফুটেজ
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ জন সচিব, ১০ জন সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক দুই নেতা, দুই জন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী পাপিয়ার আস্তানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন।
এছাড়া তালিকায় আছেন ছাত্রলীগ সাবেক এক সভাপতি এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা
পদ হারিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রে’ফতার করে র্যাব ১-এর একটি দল।
গ্রে’ফতারকৃত অন্যরা হলেন, পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), তাদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
গ্রে’ফতারের পর পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরীর দেয়ার তথ্য অনুযায়ী হোটেল ওয়েস্টিনে পাপিয়ার নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট এবং ফার্মগেট এলাকার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যা’ব।
এসব স্যুট ও ফ্ল্যাট থেকে ১টি বিদেশি পি’স্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গু’লি, ৫ বোতল বিদেশি ম’দ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি ব্যাংক চেকবই, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যা’ব।