স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর সময় তুষ্টি রানী পাল (২৩) নামে এক সন্তানের জননী আ’ট’ক হয়েছেন। এ সময় প্রেমিকের বন্ধুকেও আ’ট’ক করেছে স্থানীয় জনতা। রোববার গভীর রাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজে’লায় এ ঘটনা ঘটে। আ’ট’ক তুষ্টি রানী কমলগঞ্জ উপজে’লার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের পালপাড়ার মৃ’ত দিলীপ পালের পুত্রবধূ। তুষ্টি রানীর স্বামীর নাম দুলন পাল দুলু (৩০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজে’লার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের পালপাড়া এলাকার দুলন পাল দুলুর স্ত্রী’ তুষ্টি রানী পাল শ্রীমঙ্গল উপজে’লার বাসিন্দা খালাতো ভাই প্রেমিক সংগ্রাম পালের (২৭) সঙ্গে রোববার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে প্রেমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গৃহবধূ ও প্রেমিকের বন্ধুকে আ’ট’ক করে স্থানীয় জনতা।
পরে মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আসিদ আলী ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সদস্য মোহাম্ম’দ সুরমান আলীকে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। আসিদ আলী ও ইউপি সদস্য সুরমান আলী ওই দিন রাত ১২টার দিকে বিষয়টি পু’লিশকে জানান। পরে গৃহবধূসহ প্রেমিকের বন্ধুকে থানায় নিয়ে যায় পু’লিশ।
তুষ্টি রানী জানান, বিয়ের আগে থেকে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের স’ম্পর্ক ছিল তার। বিয়ের পরও তাদের স’ম্পর্কে ভাটা পড়েনি, বরং স’ম্পর্ক আরও গভীর হয়। এ অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে আর সংসার করতে চান না তিনি।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী দুলন পাল দুলু ভানুগাছ বাজারে ব্যবসা করেন। স্বামী ব্যবসায়িক কাজে বাইরে চলে গেলে খালাতো ভাইয়ের পরিচয়ে তুষ্টি রানীর শ্বশুরবাড়ি আসেন প্রেমিক সংগ্রাম পাল। নির্জন বাড়িতে চলে তাদের অ’নৈতিক কর্মকা’ণ্ড। প্রায় দুই বছর পর অ’নৈতিক প্রেমের সমাপ্তি ঘটে তাদের। দুলন পালের প্রথম স্ত্রী’ সন্তান প্রসবের সময় মা’রা যান। পরে দুলন পাল দুলু তুষ্টিকে বিয়ে করেন।
কমলগঞ্জ থানা পু’লিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, অ’ভিভাবকরা এসে থানা থেকে সোমবার সকালে তাদের নিয়ে গেছেন। তারা নিজেরা পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নেবেন।
এডিস মশা কামড়ালেই কী ডেঙ্গু হয়?
ডেঙ্গু সারা দেশে এক আতঙ্কের নাম। কারণ প্রতিদিনই ডেঙ্গুজ্বরে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে সবার আগে যে বিষয়টি প্রয়োজন তা হল সচেতন হওয়া। এ ছাড়া আপনার ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
এডিস মশা স্বচ্ছ-পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে।এ ছাড়া মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত ২৭ জুলাই ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম সর্বোচ্চ রেকর্ড ভাঙে ডেঙ্গু। সেদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছায় ১০ হাজার ৫২৮-এ। আর ৮ আগস্টে সেটা দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ৬৬৬ জনে।
তবে ডেঙ্গু সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না। অনেকে মনে করেন একবার ডেঙ্গু কামড়ালেই কী ডেঙ্গু হয়।
এডিস মশা কামড়ালে যে মানুষের ডেঙ্গুজ্বর হবেই, বিষয়টি এমন নয় বলে জানান ডা. আখতারুজ্জামান।খবর-বিবিসি।
আসুন জেনে নেই এডিস মশা একবার কামড়ালেই কী ডেঙ্গু হয়?
১. পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হলে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. এডিস মশা ভাইরাস সংক্রমিত থাকা অবস্থায় মানুষকে কামড়ালে সুস্থ মানুষের ডেঙ্গু হতে পারে।
৩. ভাইরাসের কারণে হওয়া জ্বরে আক্রান্ত থাকা ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ থাকে।
৪.ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে এডিস মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর ঐ মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়।